Skip to content

পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে নিয়ন্ত্রণহীন স্যাটেলাইট, কবে কোথায়

    পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে নিয়ন্ত্রণহীন স্যাটেলাইট, কবে কোথায় prothomasha.com

    কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ, স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা থাকলেও সেটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই। আর তাই কবে কোথায় পৃথিবীতে স্যাটেলাইটটি আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না।পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হয়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্যাটেলাইটটি। ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, স্যাটেলাইটের অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তাঁরা।ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করতে শুরু করে। সে সময় ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান ছিল এটি। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এক বার্তায় জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা অসম্ভব। আর তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরে থাকা অবস্থায় স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এসব টুকরায় কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে।