পিরোজপুরে পৃথক বাস চাপায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পিরোজপুরর সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় ঢাকাগামী ওয়েলকাম পরিবরহনের একটি বাসের ধাক্কায় দিপ্তী রানী সাহা (৫২) নামের এক নারী মারাত্মকভাবে আহত হন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার রাজারহাট এলাকার সঞ্জীব সাহার স্ত্রী।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওভারটেক করার সময় পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট-পিরোজর সড়কের নিমতলা নামক স্থানে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে আঁখি আক্তার (৩৪) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ২ নারীসহ আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। আহতরা হলেন ফোরকান হাওলাদার, রেশমা বেগম, ইমরান ও জহুরা বেগম। আহতদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত দীপ্তী রানীর জামাতা সুষেন কুমার দত্ত জানান, তার শাশুড়ি গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয় কদমতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ধর্মীয় জগদ্বাত্রী পূজা দেখতে যান। এ সময় রাস্তার পাশ থেকে যাওয়ার সময় পিরোজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া ওয়েলকাম পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। গাড়িটি তাকে আহত করে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা বাসটিকে আটকে তাকে নামিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সড়কের উল্টোদিক থেকে একটি অটোরিক্সা কাউখালী যাওয়ার সময় নিমতলা নামক স্থানে আরেকটি অটোরিক্সাকে ওভারটেক করতে গেলে ইমাদ পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরিশাল নেওয়ার পথে আঁখি আক্তার নামে এক যাত্রী মারা যান। আহতদের সবার বাড়ি কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া গ্রামে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান জানান, দুটি ঘটনাই শুনেছি। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখানো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।