পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে সৈয়দ রাসেল নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা করছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায় বলে জানান পিরোজপুর স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিপু সরদার।
নিহত সৈয়দ রাসেল (২২) পিরোজপুর পৌরসভার মুক্তারকাঠী এলাকার সৈয়দ ইদ্রিস মীরের ছেলে। তিনি পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের রিয়াজুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা। এর জের ধরে রাসেলের উপর প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন সময়ে রাসেলেকে অনুসরণ করে তারা। এ ঘটনায় তারা স্থানীয় ফারুকের স্মরণাপন্ন হয় বলে জানায় প্রতিবেশীরা।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়জীদ হোসেনের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করে ফেরার পথে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ফারুক ও গাঙ্গুয়া পিছন থেকে লাটিসোটা নিয়ে রাসেলের উপর হামলা চালায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ও পরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার দিকে রাসেল মারা যান।
এদিকে বুধবার দুপুরে রাসেল হত্যার বিচার দাবিতে পিরোজপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে তার সহপাঠীরা। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।