পিরোজপুরে এইচআইভি এবং এইডস রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচআইভি এবং এইডস রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পিরোজপুরের সিনিয়র চিকিৎসক এবং জেলা বিএম এর সাবেক সভাপতি ডা. ননী গোপাল রায়ের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শিশির রঞ্জন অধিকারী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নিজাম উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী।
প্রশিক্ষণে ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের এইডস এসটিডি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. আব্দুল ওয়াদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চাচ্ছেন ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এইচআইভি ও এইডস মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
এ লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এইচআইভি আক্রান্ত হলে চিকিৎসায় সুস্থ থাকা যায় জানিয়ে ডা. ওয়াদুদ বলেন এজন্য কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না। নির্ধারিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ গ্রহণে সম্পূর্ণ সুস্থ থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। কোনো রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেই রক্ত স্ক্রিনিং করে নিলে এইডসসহ অনেক সংক্রামক ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ সময় গণমাধ্যম কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের টেকনোলোজিস্ট, সেবিকাসহ অন্যান্যরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।