ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদের বেশিরভাগই খাবার ও বাসস্থানের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।জেলার সদর, সুবর্ণচর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাক-সবজি। এছাড়া দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চতায় জোয়ার হয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণ হতে পারে।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, ‘মুছাপুর, চরফকিরা এবং চরএলাহী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দাদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, জেলার ৯ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভা বন্যায় তলিয়ে গেছে। ১৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ৩৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ১১৫ জন আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দি এলাকায় খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। জেলার ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ১৭৫ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।