Skip to content

নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড prothomasha.com

    দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরুতে শাভি সিমন্সের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন হ্যারি কেইন। আর শেষ দিকে ইংলিশদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ওলি ওয়াটকিন্স। বার্লিনে আগামী রবিবার ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্পেন।

    এদিন অবশ্য শুরুটা দারুণ করে ডাচরা। খেলার সপ্তম মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডার সিমন্সের অসাধারণ নৈপুণ্যে লিড নেয় দলটি। ডেকলান রাইসের থেকে বল কেড়ে নিয়ে, কিছুটা এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। বুলেট গতির ওই শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক।

    কিন্তু ১৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। কেইন শট নিতে যাচ্ছে দেখে পা বাড়িয়ে দেন ডেনজেল ডামফ্রিস, শট নেওয়ার পরমুহূর্তে তার পায়ে লেগে প্রচণ্ড ব্যথা পান ইংলিশ অধিনায়ক। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডাচ ডিফেন্ডারকে দেখান হলুদ কার্ডও। কেইন কোনো ভুল করেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। নিখুঁত স্পট কিকে সমতা টানেন তিনি। চলতি আসরে এই নিয়ে তিনটি গোল করলেন কেইন।

    বিরতির পর খেলায় গতি ফেরাতে একসঙ্গে কেইন ও ফিল ফোডেনকে তুলে নেন ইংল্যান্ড কোচ, বদলি নামেন দুই ফরোয়ার্ড পালমার ও ওয়াটকিন্স। পরে এই দুই জনের নৈপুণ্যেই নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে পালমারের পাস বক্সে ধরে, শরীর ঘুরিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শট নেন ওয়াটকিন্স। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।এবারই প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।