বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় আজ মঙ্গলবারচারজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আলী আহসান এদিন ১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে বাকিদের আগামী ১০ অক্টোবর সাক্ষ্য প্রদানের দিন ঠিক করেছেন।
এদিন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দেন। তিনি গত ১৪ মে এ মামলায় আংশিক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর গত ১১ জুনও আংশিক জবানবন্দি প্রদান করেন। সর্বশেষ আজ অবশিষ্ট জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জেরা করে সাক্ষ্য শেষ করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার বাকি ৬৪ জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করে ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় দুদকের পক্ষে সাক্ষী হাজির করার জন্য সময় নিয়েছিল।
বিএনপি দলীয় আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভুইয়া বলেন, ‘মামলায় মোট সাক্ষী ৭০ জন। যার মধ্যে মামলায় বাদী ও দুই কানাডিয়ানসহ ৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এই মামলায় ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এর সশরীরে উপস্থিতি মওকুফ আছে। আমরা আইনজীবীরা তার পক্ষে হাজিরা দিয়ে থাকি।’গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অপর আসামিরা মারা গেছেন।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।