Skip to content

ধর্ষণের পর নারী চিকিৎসক খুন, তারকাদের তীব্র প্রতিবাদ

    ধর্ষণের পর নারী চিকিৎসক খুন, তারকাদের তীব্র প্রতিবাদ prothomasha.com

    কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে তার নিজ কর্মস্থলেই এ ঘটনা ঘটেছে।ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় কলকাতাবাসী পাশাপাশি কলকাতার তারকা অভিনয়শিল্পীরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

    ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লেখেন, আর কত আঘাত পাবে পরিবারগুলো? কলেজ, হাসপাতাল কোথাও কি নিরাপত্তা নেই? এইভাবে মৃত্যু? কেন? কি তার ব্যাখ্যা? হতাশ আমরা, ক্ষুব্ধ। এত অন্যায় কেন? কেন? এই নিষ্পাপ প্রাণ তো আর ফিরবে না? কি দোষ ছিল মেয়েটির? একজন ডাক্তার হারালাম। এত হিংস্রতা কেন? দম বন্ধ হয়ে আসছে।‘

    এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি ইতোমধ্যেই বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। তিনি লেখেন, ভাষা নেই নিন্দার। এই দোষীদের অন্তত সাজা হোক। এইবার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুলভাবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না। একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়? যাব কোথায়?

    আরেকটি স্ট্যাটাসে হুঁশিয়ার দিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন, আর জি করের ঘটনা নিয়ে কেউ সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি করতে এলে তাকে প্রত্যাখ্যান করা হোক। রাজনীতি, ভোট, দল সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রতিবাদ হোক। মেয়ের মা, ছেলের মা, সন্তানের অভিভাবক, নিঃসন্তান, সবাই নামুক।

    এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু মৃত নারীর শরীর থেকে একাধিক ব্যক্তির সিমেন বা বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রীলেখা।এ প্রসঙ্গে অন্য একটি স্ট্যাটাসে এ অভিনেত্রী লেখেন, একের বেশি সিমেন স্যাম্পল পাওয়ার পরও অপরাধী একজন? একা কারো পক্ষে পেলভিক হাড় ভেঙে দেওয়া অসম্ভব। এগুলো তদন্ত না প্রহসন। কাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? ছি!

    এদিকে কঠোর শাস্তি দাবি করে মিমি চক্রবর্তী লেখেন, এমন শাস্তি হওয়া উচিত যে, পরেরবার কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার আগে মেরুদণ্ডের হাড় কেঁপে উঠবে। কারো মেয়ে মারা গেছে, কারো স্বপ্ন, পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর কোনো ক্ষমা নেই। আমি তোমার সঙ্গে আছি।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট দিবাগত ভোররাত ৩-৬টার মধ্যে হাসপাতালে খুন করা হয় ওই তরুণী চিকিৎসককে। ধর্ষণের পর তাকে খুন করা হয়েছে। ওই তরুণীর গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই প্রাথমিক ধারণা, গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে মোট দশ স্থানে ক্ষত  পাওয়া গিয়েছে।