শ্রীলংকার দেওয়া ১৬৬ রানের জবাবে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েছেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দলীয় ৬৮ রানে সৌম্যর বিদায়ের পর ৮৩ রানের মাথায় বিদায় নিয়েছেন লিটন দাসও। তবে এরপরও জয়ের পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৬। জয়ের জন্য ৬০ বলে এখনো প্রয়োজন ৮০ রান।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে শ্রীলংকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন শুরুতে লংকানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই মেডেন আদায় করেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারেই আভিশকাকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। প্রথম ৩ ওভারে ১ উইকেট হারানো লংকানদের রান ছিল মাত্র ৮। তবে পাওয়ার প্লের পরের ৩ ওভারে খেলা নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয় শ্রীলংকা। তাসকিন-মোস্তাফিজুর রহমানদের তুলোধুনো করে ৬ ওভার শেষে তাদের রানই পৌঁছায় ৪৯-এ।
৮ ওভার শেষে শ্রীলংকা তোলে ৬৪ রান। নবম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুশল। তাতে ভাঙে ৪২ বলে ৬৬ রানের জুটি। ২২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন কুশল। পরের ওভারে রান আউট হয়ে যান দারুণ খেলতে থাকা কামিন্দুও। ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো লংকানদের রান দাঁড়ায় ৭৮-এ।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাদিরা সামারাবিক্রামাও। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে কট এন্ড বল হয়ে ফেরেন তিনি। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর মৃদু ঝড় বইয়ে দেন অধিনায়ক আসালঙ্কা। বিশেষ করে শেখ মেহেদী হাসানের করা ১৪তম ওভারে দুইটি ছক্কা মারেন তিনি। তবে ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১২ রানের মাথায় সরাসরি বোল্ড হন ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটার।
এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ করে আসেন এই দুজন। ৩৭ বলে গড়েন অপরাজিত ৫৩ রানের জুটি। তাতে দলের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫। ২১ বলে ৪টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাথিউস আর ১৮ বলে শানাকা অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার। এর মধ্যে প্রথম তিন জনের ইকোনমিই ছিল নয়ের ওপর। ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র ২০ রান দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।