Skip to content

দুর্ঘটনায় নিহত মায়ের সন্তানকে দত্তক নিতে চারজনের আবেদন

    দুর্ঘটনায় নিহত মায়ের সন্তানকে দত্তক নিতে চারজনের আবেদন prothomasha.com

    সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসানকে দত্তক দেওয়া হবে। জায়েদের মামা রবিন মিয়া শিশুটির দায়িত্ব পালন করতে অনাগ্রহ দেখানোয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড। এ বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটির দায়িত্ব নিতে চারজন আবেদন করেছেন।

    ময়মনসিংহের ভালুকায় ৯ মে রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জায়েদা খাতুন (৩০)। সঙ্গে ছিল তাঁর দেড় বছর বয়সী সন্তান জায়েদ হাসান। ১০ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জায়েদা। তখনও জায়েদার পরিচয় পাওয়া যায়নি। জায়েদার মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিছানায় স্বজনহীন অবস্থায় শিশুর পড়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিহত জায়েদার ভাই রবিন মিয়া। রবিন মিয়া ওই দিন বোনের লাশ বুঝে পেলেও শিশুটি সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

    শুরুতে রবিন মিয়া শিশুটিকে লালন–পালন করবেন বলে জানালেও পরে অসম্মতি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সদস্যসচিব ও জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আ. কাইয়ুম  বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত শিশুটির দায়িত্ব নিতে চারজন আবেদন করেছেন। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে সভা আছে। সভায় জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।

    আ. কাইয়ুম জানান, শিশুটির মামা পিকআপ ভ্যানের চালক। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় তিনি নিজের বোনের শিশুটির দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটির দায়িত্ব অন্য কোনো পরিবারকে দিতে তিনি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন। শিশুটিকে কোনো পরিবারে দত্তক দেওয়ার আগে আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করা হবে। প্রয়োজনে শিশুকল্যাণ বোর্ড সরেজমিন যাচাই করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। শিশুটির মামা রবিন মিয়া বলেন, জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় থাকতেন। ৯ মে রাত তিনটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।