তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক পরেই এর আশপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে তাইওয়ানও। ফলে সৃষ্টি হয়েছে সামরিক উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় পৌনে আটটার দিকে চীনের স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। তাইওয়ান প্রণালী, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তের পাশাপাশি তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত কিনমেন, মাৎসু, উশু ও ডনজিন দ্বীপের আশেপাশেও মহড়া চলছে।
তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে কার্যভার গ্রহণের তিন দিন পর চীনের কড়া মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে লাই চীনের উদ্দেশ্যে হুমকি বন্ধ করার ডাক দিয়েছিলেন। চীনের সঙ্গে সংলাপেরও প্রস্তাব রেখেছেন। চীন সেই প্রস্তাব নাকচ করার পর লাই বলেন, একমাত্র তাইওয়ানের মানুষই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মানচিত্রে সামরিক মহড়ার এলাকাগুলি চিহ্নিত করেছে। তাতে তাইওয়ান ও সে দেশ নিয়ন্ত্রিত দ্বীপগুলির আশেপাশের পাঁচটি এলাকা স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। তবে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের মতে, চীন এখনো তাইওয়ানের জলসীমা লঙ্ঘন করেনি। তাছাড়া চীন কোনো ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেনি।