চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে ঢাকায় ৫টি ভিন্ন মডেলের ইকিউ লাইনআপ চালু করার পরিকল্পনা করছে মার্সিডিজ বেঞ্জ। ঢাকায় ৭টি এবং সারা দেশে ১৪ টি মোট ২১টি ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সম্প্রতি জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এমটা জানিয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান র্যানকন মোটরস।
এ লক্ষ্যে তেজগাঁও শিল্প এলাকার র্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া টাওয়ারের মার্সিডিজ বেঞ্জ শোরুমে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি অনুসারে, গ্রাহকদের সহজলভ্য ও সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেনেক্স এবং র্যানকন ইকিউ যান চালুর আগে দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে। প্রাথমিকভাবে, ঢাকায় ৭টি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৪টি ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে র্যানকন মোটরসের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক ইমরান জামান খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ানুল জিয়া, হেড অব মার্কেটিং চৌধুরী মো. নাবিল হাসান এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সিওও সৈয়দ শফিকুল হাসান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান লরেন্স সহ অনেকে। অনুষ্ঠানে ইমরান জামান খান বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির অনুপ্রবেশ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা এবং চার্জিং স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন এবং সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা।
মাহমুদুল হাসান লরেন্স বলেন, মানুষ যত বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করবে, চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বাড়বে। আমাদের দক্ষ এবং নিবেদিত ইপিসি দল নির্বিঘ্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের লক্ষে প্রকল্পটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দেশব্যাপী প্রিমিয়াম হোটেল, পর্যটন গন্তব্য, হাইওয়ে রেস্তোরাঁ, শপিংমল এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে মোট ২১টি ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই পরিবহন ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক যানবাহনকে ব্যাপকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি কম আমদানি শুল্ক এবং কম জ্বালানি খরচের জন্য গ্রাহকদেরও বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে।