অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুর্নীতি মামলা তুলে নেয়া আইন সম্মত ছিল কিনা-এ বিষয়ে শুনানি ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। একই দিন বিশেষ জজ আদালতের দেয়া খালাসের রায় দাখিল করতে বলা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে করা ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।এদিকে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১২ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন।
মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের খালাস দেন আদালত।এ প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের আইনজীবীর ভাষ্য, ক্ষমতায় যাওয়ার কারণে নয়, বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালাস চান তারা। কেননা মামলাটি যে ষড়যন্ত্রমূলক ছিল এটি তারা প্রমাণ করতে চান।