Skip to content

ডেঙ্গু টিকা কবে পাওয়া যাবে, জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    ডেঙ্গু টিকা কবে পাওয়া যাবে, জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর prothomasha.com

    সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ডেঙ্গুর টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, সরকার ডেঙ্গুর টিকা আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, উত্তর ঢাকার মেয়র বলছেন, সবার সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

    বর্ষা মৌসুমই শুধু নয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ এখন থাকে সারা বছরজুড়ে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার ঢাকা উত্তরের নগর ভবনে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহপরিচালক শিগগিরই ডেঙ্গুর টিকা আসার ইঙ্গিত দেন।

    অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেন, ‘ভ্যাকসিনটা যদি ল্যাবরেটরি লেবেল থ্রি না হয় তাহলে আপনি এখানে যে ভ্যাকসিনই তৈরি করে সেটা ডব্লিউএইচও প্রি কোয়ালিফাইড হবে না। সেটা আপনি এক্সপোর্টও করতে পারবেন না। উনারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং মার্চে ওনারা এসে এটাকে ফাইনাল অনুমোদন দেবেন। আমাদের মেডিসিন ল্যাবগুলো অনুমোদিত কিন্তু ভ্যাকসিন ল্যাব অনুমোদিত না।’  ডেঙ্গু টিকা আনতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে লাভ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট সচেতন। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, এদেশে ভ্যাকসিন হয় না কেন? আমি বলি ভ্যাকসিন যারা তৈরি করে ওদের দেশে এগুলো হয় না। এই যে আমেরিকা, ওখানে ডেঙ্গু হয় না। ওরা চেনেই না এটা। ওদের তো ঠেকা পড়ে নি যে আমাদের জন্য ওরা ভ্যাকসিন বানিয়ে দেবে।’

    আলোচনা সভায় সরকারী বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি এতে অংশ নেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মশক কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা মনিটরিংয়েরও দাবি তোলেন অনেকে।

    কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘২৩ ভাগ মশার জন্ম নির্মানাধীন ভবন থেকে, এটা কিন্তু এডিস মশার কথা বলছি আমি। এই মুহুর্তে ঢাকা শহরে ৯৯ ভাগ মশা আছে কিউলেক্স। কিন্তু এই ১ ভাগ এডিস মশা কি করে, পাবলিক হেলথ প্রবলেম তৈরি করে। আর ৯৯ ভাগ কিউলেক্স মশা পাবলিক লুইসেন্স তৈরি করে।’

    সরকারী সব সংস্থার সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি করার কথা বললেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৫ জন কীটতত্ত্ববীদ আমাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন। আমি আইইডিসিআরকে বলব, আমাদের হটস্পট যেটা আছে এটি আরও কিভাবে নির্ধারণ করা যায়।’  ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরকারি সকল সংস্থার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।