রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোর হৃদয় আহম্মেদের মৃত্যুর হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালের ফের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন ডিবি পুলিশ।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের উপ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম খান গতকাল বৃহস্পতিবার এই রিমান্ড আবেদন করেছেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এদিন এ রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি হবে।গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আগরওয়ালাকে রাজধানীর গুলশানের আকাশ টাওয়ার থেকে আটক করা হয়। পরে বাড্ডা থানার একই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৭ সেপ্টেম্বর আগরওয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ (১৬) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছিলেন। সে বিএনপির মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার একজন কর্মী। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাড্ডা থানার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন।ওই সময় হৃদয় আহমেদ নিহত হয়।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।র্যাবের দাবী, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডির তথ্য মতে, তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে সোনা ও হীরা চোরাচালানের নামে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুম দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হীরার পরিবর্তে উন্নতমানের কাচের টুকরা বিক্রি করে আসছেন। এ ছাড়া দুবাই, সিঙ্গাপুরে চোরাচালান সিন্ডিকেট, ভারতের কলকাতায় জুয়েলারির তিনটি শোরুম, ১১টি বাড়িসহ মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।