নাটকীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রিয়া। একই গ্রুপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফ্রান্স। ফলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ডি গ্রুপ থেকে গ্রুপসেরা হয়েই নকআউট পর্বে উঠল অস্ট্রিয়া। ফ্রান্স রানার্সআপ।মঙ্গলবার বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ষষ্ঠ মিনিটে আক্রমণে উঠে বাঁ দিক থেকে বক্সে পাস দেন আলেক্সান্দার প্রাস। স্লাইডে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালেই পাঠান ডাচ ফরোয়ার্ড ডোনিয়েল মালেন।
বিরতির পর শুরুতেই সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে বক্সে পাস দেন শাভি সিমন্স। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে জালে পাঠান হাকপো। অবশ্য ডাচদের সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের প্রথম আক্রমণে ৫৯তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ক্রস দেন ফ্লোরিয়ান, আর ডাইভিং হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন রোমানো।
৭৫তম মিনিটে বক্সে ভেহর্স্টর হেড পাসে দারুণ শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন মেমফিস ডিপাই। শুরুতে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজলেও ভিএআর মনিটরে দেখে গোল দেন রেফারি। তবে ৮০তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। ক্রিস্টফ বামগার্টনারের চমৎকার পাস বক্সে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড সাবিৎজার।
অন্য ম্যাচে অনেক চেষ্টা আর অসংখ্য সুযোগ হারানোর পর ৫৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে অপেক্ষা ফুরাল কিলিয়ান এমবাপ্পের। গোলখরা কাটল তার দল ফ্রান্সেরও। কিন্তু সেটা আগলে রাখতে পারল না তারা। পাল্টা পেনাল্টি পেয়ে, রবের্ত লেভান্ডভস্কির গোলে ড্রয়ে আসর শেষ করল পোল্যান্ড।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে অস্ট্রিয়ার ৬ পয়েন্ট। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ ফ্রান্স। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে নেদারল্যান্ডস। চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে ডাচদের শেষ ষোলোয় ওঠা নিশ্চিত হয় আগেই। ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে পোল্যান্ড।