রমজানের আগে ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ছে ছোলার দামও। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এই চিত্র। নিত্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পণ্যটির কেজি ৮৫ থেকে ১০০ টাকা। আর খুচরায় ১১০ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত বা অস্ট্রেলিয়ায় ছোলার বুকিং রেট বাড়তি থাকার কারণে আমদানিও বেশি দামে করতে হচ্ছে। তাই দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে।
বছর দুয়েক আগেও রমজানে ছোলার কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, ২০২২ সালে ৭৪-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে নিম্নমানের ছোলার কেজি ছিল ৭২ টাকা। আর ভালো মানের ছোলা ছিল ৭৫ টাকা কেজি।এ বছর বাজারে নিম্নমানের ছোলার কেজি ছিল ৭৮ টাকা, ভালো মানেরটা সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা। গত ২২ ফেব্রুয়ারিতেই দাম ওঠে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৯৩ টাকায়।
গত সোমবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের ছোলা ৮৫ টাকা আর ভালো মানেরটা সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম ১১০ থেকে ১১৮ টাকায় কেনাবেচা চলছে।ছোলার আড়তদাররা জানান, বাজারে গত বছরের ছোলা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর নতুন আমদানি করা ছোলার দাম তুলনামুলক বেশি। বাজারে ছোলার ঘাটতি নেই।
চট্টগ্রাম ডাল মিল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ দে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে ডলার রেট পড়ছে ১২৫ টাকা। এলসি খুলতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন আমদানিকারকরা। বর্তমান ডলার রেট হিসাব করলে প্রতি কেজি ছোলার ক্রয়মূল্যই পড়বে ৯৬ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন, শ্রমিক খরচ যোগ করলে আরও বেড়ে যাবে। সে হিসাবে ছোলার দাম এখনো কমই আছে। ’
কনসিউমার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে ছোলার চাহিদা বছরে দেড় লাখ টন। আমরা যদি বার্ষিক চাহিদা দুই লাখ টনও ধরি, তাহলে দেশে ছোলার ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। এরই মধ্যে দেশে এক লাখ ৪০ হাজার টন ছোলা এসেছে। অনেক ছোলা পাইপলাইনে রয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের আমদানি করা ছোলাও বাজারে আছে। তার মানে ছোলার ঘাটতি নেই। ’