Skip to content

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্ষমতার ঘ্রাণ পাচ্ছে ইমরানের পিটিআই

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্ষমতার ঘ্রাণ পাচ্ছে ইমরানের পিটিআইprothomasha.com

    যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই রাষ্ট্রের পালাবদলে নতুন করে ক্ষমতার চেয়ারে বসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা হারানো তার বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র নেতারা। আর সেই দলের একজন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান।

    ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় পিটিআই প্রধান ইমরান খানের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির নেতা আলী মুহাম্মদ খান। সেই সঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন এই প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের প্রতি নেতিবাচকতা হ্রাস করতে পারে। যা বাইডেন প্রশাসনের অধীনে তীব্র হয়েছিল।

    বুধবার জিও নিউজের অনুষ্ঠান ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’-এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় আলী বলেন, ট্রাম্পের জয়ের কথা দলের কারাবন্দী প্রতিষ্ঠাতাকে জানানো হয়েছে। তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রাম্পের সঙ্গে তার ইতিবাচক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।

    এর আগে ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। সে সময় তিনি নিজের ক্ষমতা হারানোর জন্য মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে ছিলেন। বলেছিলেন, ‘বাইডেন প্রশাসনের অধীনে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল; সেখানে নেতিবাচকতা ছিল।’

    এ অবস্থায় ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইমরানের রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য যে সুবিধাজনক সেটিও জানিয়েছেন আলী। বলেন, এটি (ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া) রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি কমিয়ে দিতে পারে। এটি অবশ্যই একটি প্রভাব ফেলবে। এটি একটি ভাল দিক। যদি কিছু ইতিবাচক লোক ক্ষমতায় আসে যাদের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে।’

    বিদেশিরা যারা কিনা খান সাহেবের মুক্তির জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে একবার ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে এটি ইমরানের জন্য জিনিসগুলি সহজ করে দেবে বা অন্তত বাইডেন প্রশাসনের অধীনে নেতিবাচকতা হ্রাস পাবে।

    এদিকে, মার্কিন নির্বাচনের উপর জিও নিউজের বিশেষ ট্রান্সমিশনের সময় কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি না যে ট্রাম্প পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার মুক্তির আহ্বান জানাবেন। আসুন ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করি এবং দেখি তিনি কী অবস্থান নেন।’ এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা ক্ষমতায় বসার পর ইমরান খান ইস্যুতে কোন অবস্থান নেন ট্রাম্প।