বার্নাবাস ভুজিটি-সোলনে। হাঙ্গেরির একজন শেফ। সম্প্রতি তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। তবে এই রেকর্ড রন্ধনশিল্পে নয়, রেকর্ড গড়েছেন অনলাইন গেমে। তিনি ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট টানা ৫৯ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে এমএমওআরপিজি খেলে দীর্ঘতম ভিডিও গেম ম্যারাথনের শিরোপা জিতেছেন। এর আগের রেকর্ড ছিল ২৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের।
বার্নাবাসের খেলার পুরো সময়টি লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছে। তাঁর এই অর্জনের মধ্য দিয়ে আসা সব অর্থ দাতব্য কাজে ব্যয় করা হবে। একটি ওয়েবসাইট এই আয়োজন করেছে। তাঁর এই উদ্যোগ শুধু খেলার জন্যই ছিল না, এটি কিছু দেওয়ারও উদ্দেশ্য ছিল।
এই কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে বার্নাবাস আরেকটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও গড়েছেন। তিনি দীর্ঘতম এমএমওআরপিজি ম্যারাথন ও দীর্ঘতম ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট ম্যারাথনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট এবং এমএমওআরপিজি দুটি খেলায়েই খেলোয়াড়েরা চরিত্র তৈরি করেন এবং ভার্চ্যুয়াল–জগৎ আবিষ্কার করেন, যেখানে তাঁরা দানবের সঙ্গে লড়াই করেন এবং অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশে তাদের সন্ধান করেন। বার্নাবাস তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অন্ধকূপ পরিষ্কার করার পাশাপাশি নির্ধারিত অঙ্গনে অন্য খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়াই করে সময় পার করেন।
অবশ্য ৩০ ঘণ্টা খেলার পর বার্নাবাসের কাছে তা একঘেয়ে মনে হতে শুরু করে। কারণ, এরই মধ্যে তিনি অনেক জিনিস শেষ করে ফেলেছিলেন। আর যখন ৪৫ ঘণ্টার মতো হয়ে যায়, তখন তিনি অলীক কল্পনায় ভাসতে শুরু করেন।
প্রতিটি ‘দীর্ঘতম ম্যারাথন’ রেকর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, বার্নাবাস টানা এক ঘণ্টা খেলার পর পাঁচ মিনিটের বিশ্রাম পেয়েছেন। ওই বিরতির সময় তিনি খেতে, ঘুমাতে বা বাথরুম ব্যবহার করতে পারতেন।
বার্নাবাস বলেন, খেলতে খেলতে ক্লান্তি পেয়ে বসছিল, যা ‘সত্যিই কঠিন’ ছিল। কিন্তু তিনি কখনোই কোনো ক্যাফেইন খাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি, শুধু পানি পান করেছেন। তিনি হিসাব করে দেখেছেন, একটু একটু করে পানি পান করতে করতে তিনি পুরোটা সময় প্রায় ১৫ লিটার পানি পান করেছেন।
ম্যারাথন গেমিং সেশনে বার্নাবাস নতুন কেউ নন। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি নিয়ম করে ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট খেলছেন। একজন কিশোর হিসেবে তিনি প্রায়ই সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত এবং সপ্তাহান্তে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত গেম খেলতেন।