মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ দেরিতে আসায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ছয় মাস পর দুদককে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক, তখন কিছুই করার থাকে না দুদকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর এড়িয়ে কীভাবে অর্থ পাচার হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, দুর্নীতি বলতে শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ফোকাস করা, অথচ এই সুযোগে সমাজের অন্য পেশার মানুষও দুর্নীতি করছে। দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে গত দুই বছরে অন্তত ৩০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা বলেন, বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে দুদকের প্রতি জনগণের অস্থা তলানিতে ঠেকবে। দুদকে কর্মরত সবার সম্পদের হিসাব ২ বছর পরপর জনগণের সামনে প্রকাশ করতে এ সময় দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। সম্পদের বিবরণ দুদকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাসহ ১৯টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।