Skip to content

জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে: পরিসংখ্যান ব্যুরো

    জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে: পরিসংখ্যান ব্যুরো prothomasha.com

    সদ্য বিদায়ী জুনে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।আজ রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সব সূচকেই জুনের পরিস্থিতি ভালো ছিল।প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৯ দশমিক ৭২ ভাগ। আগের মাসে (মে, ২০২৪) যা ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে অবস্থান করছিল। পাশাপাশি বিদায়ী জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। মে মাসে এই হার ছিল শতকরা ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।এদিকে, গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা মে, ২০২৪ এর চেয়ে সামান্য কমেছে। গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।গত দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই সময়জুড়ে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মাঝখানে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন ফল হয়নি। এখনো মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে। যদিও মাঝেমধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য ওঠানামা করছে।এই অবস্থায় অর্থনীতিবিদের মত, দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।বিশ্লেষকেরা বলছেন— মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে। তবে অনেকে মনে করেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি।