Skip to content

জিয়াউল আহসানকে ধরতে বিমানে তল্লাশি

    জিয়াউল আহসানকে ধরতে বিমানে তল্লাশি prothomasa.com

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা।এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জিয়াউল আহসান বিমানবন্দর হয়ে পালিয়েছে যাচ্ছেন এমন খবর প্রকাশ পায়। পরে তার খোঁজে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়। তবে তল্লাশি করে তাকে পাওয়া যায়নি।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্লেনটি উড্ডয়নের আগমুহূর্তে থামানো হয়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।বিমানবন্দরে ডিউটিরত একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাত দেড়টায় ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল জিয়াউল আহসানের। ফ্লাইটটি বোর্ডিং ব্রিজ থেকে রানওয়ের দিকে যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ পাইলটকে ফ্লাইটটি নিয়ে বোর্ডিং ব্রিজে ফিরে আসতে বলা হয়। পাইলট ফিরে বোর্ডিং ব্রিজে এলে ফ্লাইটে প্রবেশ করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পুরো ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাওয়া যায়নি।

    এ বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন কর্মকর্তা জানান, তাকে আটক করা হয়নি।উল্লেখ্য, জিয়াউল আহসান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ব্যক্তিকে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান রহস্যের সঙ্গে বারংবার নাম এসেছে জিয়ার। এছাড়াও আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনড অফিসার হিসেবে যোগ দেন জিয়াউল আহসান। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি।২০১০ সালে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক থাকা অবস্থায় লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান নোয়াখালীর হাতিয়ারচরে শীর্ষ বনদস্যু বাশার মাঝি গ্রুপের সঙ্গে মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। ২০১১ সালে সুন্দরবনের জলকটকাতেও বনদস্যুদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দেন তিনি।

    ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। একই বছর (২০১৩ সালে) মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ও আশপাশের এলাকায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।এসব অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একাধিক সম্মানজনক পদকও লাভ করেন জিয়াউল আহসান।২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।তখন জিয়ার জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির ‘মহাপরিচালক’ পদটি সৃষ্টি করা হয়। আর পদটিতে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান জিয়াউল আহসান।