পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযান পরিচালনা করি। ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, যা এখনো আছে।’আজ সোমবার গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ থেকে ৮ বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলা হয়েছিলো। ওই রাতে পুলিশের দুই সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছিলেন। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বেও আলোচিত ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। অনেক দেশ মনে করেছিল এই জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আরও জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলেও অনেকে মনে করেছিল।’
এসবি প্রধান বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানে নামি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতাসহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নানা কৌশল গ্রহণ করি। হলি আর্টিজানের ঘটনার পরপরই শোলাকিয়াতে একটি হামলা হয়। এরপর থেকে জঙ্গিরা ছোট কিংবা বড় কোনো হামলা করতে পারেনি। জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযান পরিচালনা করি। ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, যা এখনো আছে।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা একটি ভুল মতাদর্শ নিয়ে কাজ করে। ফলে এটি দমন করা অনেক লম্বা সময় প্রয়োজন ও জটিল প্রসেস। এই মতাদর্শ এখনো রয়েছে। তাই তারা অনলাইন ও বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য, গবেষণা ও ক্ষেত্র বিশেষে অভিযান পরিচালনা করছে।’প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান-২ এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। আট বছর আগের ওই রাতে অস্ত্রের মুখে বেকারিতে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে জঙ্গিরা। ভয়াবহ সেই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন।