যশোরে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ সোমবার সকালে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের যশোর সদর উপজেলার তারাগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাসের সুপারভাইজার। তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। অপরজন বাসের যাত্রী। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের হাশেম আলী (৪০)। আহত ব্যক্তিদের সবাই সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা চট্টগ্রামের রাউজানের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪০ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রোববার সন্ধ্যায় সেন্ট মার্টিন পরিবহনের একটি রিজার্ভ বাস কালীগঞ্জে যাচ্ছিল। গোপালগঞ্জ আসার পর বাসের চালক ঘুমাতে যান। এ সময় তিনি বাসের সহযোগীর (হেলপার) কাছে গাড়ি চালাতে দেন। বৃষ্টির মধ্যে বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন সহকারী। সকাল সাড়ে আটটার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় বাসের সুপারভাইজার ও একজন শ্রমিক নিহত হন। আহত আরও পাঁচজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত হাশেম আলীর খালাতো ভাই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৪০ জন ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। আট মাস পর বাস রিজার্ভ করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। আমরা বাড়ি ফিরলেও ভাই ফিরছে লাশ হয়ে।’ যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, যাত্রীবাহী একটি পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।