Skip to content

চার বছর আগের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

    চার বছর আগের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধprothomasha.com

    চার বছর আগে বন্ধ হওয়া ঢাকা ইপিজেডের লেনি ফ্যাশন এবং লেনি অ্যাপারেলস কারখানার সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুলিয়ার ঢাকা ইপিজেড এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

    বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে করোনার দোহাই দিয়ে লেনি ফ্যাশন কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তিন মাসের বকেয়া বেতন, আর্ন লিভ সার্ভিস বেনিফিটের দাবিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

    বজলু নামের এক শ্রমিক জানান, ৪ বছর ১০ মাস আগে করোনার দোহাই দিয়ে আমাদের কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার দুই মাসের বেতন ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে আমাদের বেতন দেয়ার কথা। এর আগে গত মাসের ১৫ তারিখে বেতনের তারিখ জানিয়ে নোটিশ দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোন প্রকার নোটিশ দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছি।

    আরেক শ্রমিক জোহরা খাতুন বলেন, আমাদের কোম্পানির চারটি কারখানার মধ্যে একটি কারখানা ৮৩ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। কথা ছিল কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে। আমাদের সাড়ে সাত হাজার শ্রমিকের পাওনা ৬১ কোটি টাকা হলেও এখনও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না। বিক্রি করা কারখানাটি চালু হয়েছে এবং অন্যান্য শ্রমিকরা কাজ করছে। আমরা ৩০ তারিখের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে শ্রমিকরা নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের ইপিজেড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়ার কারণে দুই পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

    এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।

    আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ডিইপিজেডের লেনি ফ্যাশনের শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছে।