ফরাসি ক্লাব পিএসজির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, তা সবারই জানা। রেয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছেন, এটাও সম্ভবত নিশ্চিত। তবে বছর সাতেক আগে বেশ সাড়া ফেলে দেওয়া বাংলা গানের মতো, চলে যাওয়ার আগে পিএসজিকে ‘জোছনা’ দেখিয়ে চলেছেন এমবাপ্পে। একক নৈপুণ্যে পিএসজিকে তুলেছেন এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে কাল রেয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি, দুই লেগ মিলিয়ে লুইস এনরিকের দল জিতল ৪-১ গোলে। গতকালের দুই গোলের দুটিই এমবাপ্পের। এর মধ্যে প্রথম গোলে তো জালই ছিঁড়ে ফেলেছেন!
আগের লেগে ঘরের মাঠে জয় পাওয়া পিএসজি কাল ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। যার সুফল পেতেও বেশি দেরি হয়নি সফরকারীদের। ম্যাচের ১৫ তম মিনিটে ওসমান দেম্বেলের বাড়ানো পাসে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে সোসিয়েদাদের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোলার মতো শটে জালে বল জড়ান কিলিয়ান এমবাপে। পরে দেখা গেল, জালই ছিঁড়ে গেছে তাতে। এমবাপের এমন গোলে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের পাশাপাশি দলও যেন নিশ্চুপ হয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি সোসিয়েদাদ। তবে ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা ছিল আগ্রাসী, যার ফলাফল – প্রথমার্ধেই দুই দলের চার খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখে বসেন।
দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই আবার এমবাপ্পে ‘শো’। আগেরবারে গোলার মতো শট নিয়েছিলেন, এবার ছুটলেন গুলির বেগে! ৫৬তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ক্যাং ইন-লি’র ভাসানো পাস ধরে ‘বোল্ট’ দৌড়ে বক্সে ঢোকেন এমবাপ্পে। এরপর তাঁর ট্রেডমার্ক ‘নিয়ার পোস্ট ফিনিশ!’ ততক্ষণেই পিএসজির শেষ আট নিশ্চিত, শেষ দিকে মিকেল মেরিনোর গোল শুধু বুঝিয়েছে, সোসিয়েদাদও এই লড়াইয়ে ছিল।