কিছুদিন আগেই ভারতীয় অভিনেতা সাহিল খানকে পুলিশ ছত্তিশগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্য অনেক তারকার মতোই মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। কিন্তু কেবল এ ঘটনাই নয়, তাঁকে নিয়ে আরও অনেক বিতর্ক আছে। কিন্তু কে এই সাহিল খান? জেনে নেওয়া যাক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে।শুরুর দিকে সাহিল খানের ইচ্ছা ছিল অভিনেতা হওয়ার, বেশ কিছু ছবি করেছিলেন; কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টো অভিনেতা নিজের পেশা বদল করে বডিবিল্ডার এবং জিমের মালিকানা নেন। দুবাইয়ে নাকি তাঁর বিরাট জিম রয়েছে।
২০২১ সালে মনোজ নামে এক বডিবিল্ডারের মৃত্যুর পর তাঁর নাম আলোচনায় আসে। সেই ব্যক্তি তাঁর মৃত্যুর আগে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমার নামে সামাজিক মাধ্যমে নানা সময় মিথ্যা রটাত সে। আমার সাফল্যকে হিংসা করত। আমার স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লাগিয়ে দিয়েছিল।’ এ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা শেষ না হতেই গত বছর আবার বিতর্কে জড়ান সাহিল।
২০২৩ সালে এক নারী তাঁর নামে থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, জিমে টাকা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাজে আচরণ করেন অভিনেতা। তবে এসব বিতর্কের আগে সাহিল আলোচনায় আসেন বলিউড অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্কের গুঞ্জনের কারণে। একটা সময় আইনি প্রক্রিয়া পর্যন্ত গড়ায় সে বিষয়টি। একসঙ্গে ব্যবসা খুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে সেই প্রভাব ব্যবসায় পড়তে থাকে।
অভিনেতা একটা সময় স্বীকার করে নেন তাঁদের সম্পর্কের কথা। এরপরই জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তা–ই নয়, তারকাপত্নী দাবি করেছিলেন, সাহিলের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না পেশা ছাড়া। কিন্তু লাভ হয়নি। সাহিলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি আদালতে পেশ করা হলে আয়েশা জানান এসব নকল! পরে নিজেদের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করে নেন তাঁরা। নরওয়ের এক শিল্পীর সঙ্গে তিনি গাঁটছড়া বাঁধেন সাহিল। কিন্তু সেই বিয়ে স্থায়ী হয়নি। দুই বছর পরই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। উল্লেখ্য, অভিনেতার জন্ম কলকাতায়। কিন্তু এখানে বেশি দিন তিনি থাকেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি চলে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে।