Skip to content

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দশম মাস

    গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দশম মাস prothomasha.com

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার দশম মাস শুরু হলো। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ১৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রবিবার ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এই হামলায় গাজার পশ্চিমে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল-জাওয়াইদা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয়জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে বলে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে।

    গত শনিবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলায় ১৬ জন নিহত হন। রবিবারের হামলায় গাজা শহরের আরেকটি বাড়িতে ৬ জন মারা গেছেন বলে প্যারামেডিকরা জানিয়েছেন। ওয়াফা নিউজ এজেন্সির তথ্যমতে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সাবরা পাড়ায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, এতে অন্তত দুইজন নিহত হন।

    জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারাত্মক ক্ষুধার সম্মুখীন।গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-আকসা হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান হতাহতের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। জাবালিয়ার আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মুহাম্মদ সালহা জানিয়েছেন, সেখানে পরিস্থিতি খুবই কঠিন।

    ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই হামলায় হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

    জাতিসংঘের তথ্য মতে, খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটের কারণে গাজার সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে।