ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে গত সোমবার সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু তারপরও আবার গরম পড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও অন্তত দুই দিন এমন গরম থাকতে পারে। কোনো স্থানে তাপপ্রবাহও হতে পারে। তবে টানা তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।
ভারী বৃষ্টির পর এত তাপ ও অসহনীয় গরমের কারণ কী, তা জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, মাটির সুপ্ত তাপ ছাড়তে সাহায্য করেছে বৃষ্টি, যার কারণে পরিবেশ উষ্ণ হচ্ছে। এ কারণে, কোনো তাপদাহ বা উচ্চ তাপমাত্রা না থাকলেও অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। এটি মূলত ভ্যাপসা গরমের কারণে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৪ শতাংশ। এত আর্দ্রতার জন্যই গরম যা–ই থাকুক, মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বেশি থাকবে।
রাজধানীতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমন গরম আজ ও কাল শুক্রবারও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে গরম কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় আজ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা আজ কিছুটা কমলেও বাড়তে পারে দেশের অন্য এলাকার তাপমাত্রা।
এত গরমের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর সুখবর দিল। এবার মৌসুমি বায়ু এসেছে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। বাংলাদেশে সাধারণত ৩১ মে বা ১ জুনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে টেকনাফ উপকূল দিয়ে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে দেওয়া বার্তায় বলেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে।