কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। সূর্যের প্রখর তাপে উত্তপ্ত প্রকৃতি। কোথাও মেঘের দেখা নেই। বাতাসের আর্দ্রতাও কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। যেমন- ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ধরনের ওষুধ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। গরমে শরীরচর্চার অভাবে কারও কারও ওজনও বাড়ছে।
এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তো আছেই। তবে আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই তাপপ্রবাহের দিনগুলোতে নিয়মিত ডিটক্স ওয়াটার পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, ডিটক্স ওয়াটার শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে বেশ কার্যকরী। এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, বাড়তি চর্বি ঝরায়। এমনকি খাবার হজমেও সাহায্য করে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিজেই ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স ওয়াটার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিটক্স ওয়াটার বানানোর পদ্ধতি-
১. শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘরে থাকা লেবু ও পুদিনা পাতা দিয়ে বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। লেবু শরীরকে ঠান্ডা এবং ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। পুদিনা পাতা ও লেবু মিশ্রিত এ পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি হজম বাড়াবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখবে।
২. শসা দিয়ে বানাতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান শরীরকে বিষমুক্ত করে। এই পানীয় মেদ ঝরাতে এবং ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে।
৩. গরমে শরীরে শক্তি যোগাতে কমলালেবু দিয়েও তৈরি করতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একইসঙ্গে ত্বকও সতেজ রাখে।
৪. শসা, লেবু, পুদিনা পাতা কিংবা যেকোনো ফল দিয়ে বানানো ডিটক্স ওয়াটার স্টিল কিংবা কাঁচের জারে বানানোর চেষ্টা করুন। এসব পানীয় প্লাস্টিকের জারে না বানানোই ভালো। একসঙ্গে অনেক পরিমাণে পান না করবেন না। বরং সারাদিন অল্প অল্প করে পান করুন। এটি ফ্রিজে রেখে দিন। গরমে বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।