Skip to content

খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি ১০ জুলাই

    খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি ১০ জুলাই prothomasha.com

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৫ আসামির গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের পরবর্তী শুনানির দিন ১০ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে হাজিরা দাখিল করে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানি করতে বলেন।

    তখন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার খালেদা জিয়ার অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানি করেন। এরপর বিচারক ১০ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এদিন এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলাটিতে গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সব আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।

    মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।

    ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেন এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।