Skip to content

কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যায় স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড, স্বামী’র কারাদণ্ড 

    কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যায় স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড, স্বামী'র কারাদণ্ড prothomasha.com

    কুমিল্লা বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতা মো. আক্তারুজ্জামানকে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্বামীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা (২৮) কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও দন্ডিতপ্রাপ্ত আসামি শাহীন ভূঁইয়ার স্ত্রী এবং ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মো. শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) হলেন একই গ্রামের মো. মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাত ৯টা হতে ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরের পানিতে ফেলিয়া গুম করে রাখেন। এ ব্যাপারে ১১ অক্টোবর নিহতের বড়ভাই একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. আবুল কাশেম (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

    তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোজ্জামেল হক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা ও আসামি শাহীন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র এবং ২০২১ সালের ২৩ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করিলে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা, মো. শাহীন মিয়া ও মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি মো. শাহীন ভূঁইয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

    এছাড়াও মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আসামি মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম এবং আসামি অ্যাডভোকেট মো. ফারুক আহমেদ।