ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম মো. হাসান (২৩)। তিনি উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি একজন কৃষক। তাঁর পরিবারে স্ত্রী ও চার মাস বয়সী ছেলে আছে। স্থানীয় সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার বলেন, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফকে বিষয়টি জানিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে কসবার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় শূন্যরেখায় যান মো. হাসানসহ কয়েকজন। এ সময় ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে এক বিএসএফ সদস্য এসে গুলি করেন। এতে হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মো. ইয়াছিন ও ইমন মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হাসানকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কসবা থানা-পুলিশ লাশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোছা. রাবেয়া আক্তার বলেন, হাসানকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তারপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। তাঁর পিঠে গুলির চিহ্ন আছে।
কাইমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত হাসানের সহপাঠী মো. ইয়াছিন মিয়া বলেন, হাসানসহ তাঁরা কয়েকজন বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়েছিলেন। সেখানে হাসান দাঁড়ানো ছিলেন। এ সময় ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে এক বিএসএফ সদস্য গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তিনি মারা যান।
নিহত হাসানের বাবা জারু মিয়া বলেন, তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট হাসান। আজ সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তাঁর ছেলে মারা গেছেন। কিন্তু কী অপরাধে তাঁর ছেলেকে গুলি করে মারা হলো, তিনি তা জানেন না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত তরুণের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।