প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চিংড়ি রপ্তানি যখন কমছে, তখন সরকারের প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে রপ্তানিকারকেরা। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২১ কোটি টাকা কম রপ্তানি হয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে উৎপাদন কমেছে তিন হাজার টন। এ অবস্থায় প্রণোদনা না কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয় ২৪ হাজার ১০৪ টন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চার হাজার টন কমে হয় ১৯ হাজার ৯০৪ টন। আর চলতি অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে নয় হাজার ৭১ টন চিংড়ি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন হাজার টন কম। বাংলাদেশের চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে চিংড়ি রপ্তানি। এর মধ্যে সরকারের এক শতাংশ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্তে বিপাকে রপ্তানিকরকরা।
সি ফুড এক্সপোর্ট বাইং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের গাফিলতির কারণে আমরা চিংড়ি রপ্তানির বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে শর্ট ওয়েট বা অন্য নানা কারণে আমাদের দেশের চিংড়ি ফেরত এসেছে। ফলে বায়াররা আমাদের দেশ থেকে চিংড়ি নিতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তারপর আবার প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্তে রপ্তানি খাতে ঘাটতি আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।’ বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন জানান, চিংড়ি রপ্তানি খাতে ১ শতাংশ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্তে ঘাটতি আরও বাড়বে, ফলে রপ্তানি আরও কমে যাবে।
রপ্তানি বাড়াতে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানির পরামর্শ দিয়েছে খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে প্রণোদনা কমানোর বিষয়ে কিছু বলেননি মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাইরে থেকে চিংড়ি আমদানি করে, সেটা পুনঃপ্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে রপ্তানি করার একটি পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা–ভাবনা চলছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭ শ ৪২ কোটি টাকা। ৬ শ কোটি টাকা কমে আয় হয়েছে ১ হাজার ২১ কোটি টাকা।