কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ইলশা এলাকার মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, একই উপজেলার রায়ছড়া এলাকার গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া। তারা চোখের চিকিৎসা করাতে গত শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, সোমবার সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে শুনলেও তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। শুনেছি পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। মারাও গেছেন বলে খবর পেলেও কয়জন মারা গেছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। আমাদের (চক্ষু হাসপাতালের) একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা মুঠোফোনে জানান, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যান ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।