সাগর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এর মাধ্যমে মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপন করা স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারীতে জ্বালানি পরিবহন শুরু হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
দেশে বর্তমানে আমদানি করা পরিশোধিত বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে ছোট ট্যাংকারে নিয়ে খালাস করা হয়। এরপর চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি বা বিভিন্ন স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়। একটি জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগে ১১ থেকে ১৬ দিন।দীর্ঘ সময়, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ৩ দফা সংশোধনীর পর এই জুনে শেষ হচ্ছে প্রকল্পটি।
এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তেল খালাস করে নেওয়া হয়েছে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে। দ্বিতীয় ধাপে মহেশখালী স্টোরেজ থেকে পাম্প করে এসব জ্বালানি নেওয়া হবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, এসপিএম সিস্টেমটায় হলো এত আধুনিক সিস্টেম, যার মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে ভাসমান অবস্থায় জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হয়। মহেশখালীতে আমাদের পাম্প হাউস থেকে পাম্প করে তেল নিয়ে আসা এটা কোনো কঠিন কাজ না। কারণ, পাম্প করলেই তেলটা পাইপলাইনে চলে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মনোযোগ দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া বলেন, বিস্ফোরণ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, বিস্ফোরণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। একইসঙ্গে ওভারপ্রেসার লোড যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি কনস্ট্রাকশন ড্যামেজ যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে বছরে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন জ্বালানি সংশ্লিষ্টরা।