রাজধানীর কুড়িলে মরদেহবাহী গাড়ির বহরে থাকা পিকআপ আটকে দেওয়ায় টোল প্লাজায় ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোল প্লাজায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এক্সপ্রেস ওয়েতে কোনো বাহনে উন্মুক্ত অবস্থায় চড়া নিষেধ, তাতে বারণ করায় বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পিকআপের যাত্রীরা। তবে টোল দিয়েই পিকআপটি উঠে এক্সপ্রেসওয়েতে। ওই ঘটনায় মামলা না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে।
টোলপ্লাজার বেশ কিছু সিসি ফুটেজে দেখা যায়- মরদেহবাহী একটি ফ্রিজিংভ্যান ওই লাইন দিয়ে যায়। একই বহরে ছিল মানুষ ভর্তি পিকআপটিও। মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যানের পরপরই অন্য আরেকটি একটি গাড়ি ঢুকে পরে। ফলে পিকআপটি পেছনে পড়ে যায়। স্বজনের মরদেহ আগে চলে যায় তাই এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের নিয়ম মানতে অস্বীকৃতি জানায় পিকআপের যাত্রীরা। একপর্যায়ে তারা ভেঙে ফেলে টোল বার।
এ বিষয়ে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বিভাগের ম্যানেজার ক্যাপ্টেন হাসিব হাসান খান বলেন, ‘আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি- যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের লোক না। তারা একটা জানাজাতে যাচ্ছিল। তাদের আগে লাশ বহনকারী গাড়িটি চলে যাওয়ায় তারা একটু অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। কারণ মরদেহ যেহেতু চলে গেছে তাহলে তারা কেন যেতে পারছে না, এটা নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’
এক্সপ্রেসওয়ের টোলবক্সে বিক্ষোভকারী পরিবারের সদস্য মো. সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘সেদিন আমার বাবা মারা গিয়েছিল। খিলক্ষেত থেকে মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যানটি নিয়ে যাচ্ছিলাম আজিমপুর কবরস্থানে। আমার সঙ্গে ছিল আমার মহল্লার লোকজন, আমার ছোট ভাই। একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে আমি এবং আমার পরিবার দুঃখিত।’