পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কেউ উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যেতে চাইলে কমপক্ষে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হবে। ঈদের আগে ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিলে এই ভাড়া দাঁড়াবে সাড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত। এই পথে চলাচলকারী উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ঈদযাত্রার অধিকাংশ ফ্লাইটের ৮০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।দেশের বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ রোজার পর থেকে টিকিটের চাহিদা বেশি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় বাকি টিকিটের ক্ষেত্রে সাধারণ সময়ের বেশি দাম পড়ছে। চাহিদা বেশি থাকায় সৈয়দপুর ও রাজশাহীর টিকিটের দাম তুলনামূলক বেশি।
অন্যদিকে ঈদে উড়োজাহাজের ফিরতি ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে বাকি যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত, সেগুলোর নাগাল পেতে মূল্য দিতে হবে দুই থেকে তিন গুণ।টিকিটের চাহিদা থাকায় অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ৯টি (যাওয়া-আসা মিলে ১৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগামী ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল রুটে এসব ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের বিমানের বড় আকারের উড়োজাহাজ থাকায় অতিরিক্ত ফ্লাইট দেওয়া হয়নি।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে বিমানের ফ্লাইটগুলোর ৮০ শতাংশ টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। সৈয়দপুর ও রাজশাহী পথে টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ঈদের পর বিমানের ফিরতি ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে।
অনলাইনে উড়োজাহাজের টিকিট কাটার জনপ্রিয় দুটি ওয়েবসাইটে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঢুকে দেখা যায়, আগামী ৭ এপ্রিলের ঢাকা থেকে সৈয়দপুর পথে উড়োজাহাজের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তবে এই ফ্লাইটে টিকিট অবিক্রীত আছে মাত্র একটি। এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ইউএস বাংলার টিকিটের দাম কমবেশি সাড়ে ৬ থেকে ৯ হাজারের মধ্যে। সাধারণ সময়ে এই গন্তব্যে টিকিটের দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যেই থাকে।ঢাকা থেকে রাজশাহীর ৭ এপ্রিলের টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়া সাড়ে ৬ হাজার। পরদিন ৮ এপ্রিলের ভাড়া সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। কোনো উড়োজাহাজ সংস্থারই এদিনের রাজশাহী রুটের টিকিট খুব বেশি অবিক্রীত নেই।
তবে ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটের ফ্লাইটের টিকিট তুলনামূলক বেশি অবিক্রীত আছে। তবে দাম সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি। এই রুটের ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকার টিকিট এখন কিনতে খরচ হবে সাড়ে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা।সাধারণত ঈদের সময়টা আগে থেকেই জানা যায়। এক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে। তাই টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে যায় আগেভাগেই। যাত্রীরা সুবিধাজনক সময়ে বিমান সংস্থাগুলোর বিক্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কিনে থাকেন। অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কিনে থাকেন অনেক যাত্রী।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ঈদের ছুটি থাকতে পারে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। পরদিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার আবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। মানে হলো, সরকারি ছুটি ৫ দিন নিশ্চিত। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল সোমবার অফিস-আদালত খুলবে। ফলে অনেকেই ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করবেন।
ঈদে উড়োজাহাজের ফিরতি ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে বাকি যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত, সেগুলোর নাগাল পেতে মূল্য দিতে হবে দুই থেকে তিন গুণ। অনলাইনে উড়োজাহাজের টিকিট কাটার ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ১৪ এপ্রিল সৈয়দপুর থেকে ঢাকা আসার টিকিটের সর্বনিম্ন দাম পরবে ৯ হাজার টাকা। রাজশাহী থেকে ফিরতে সর্বনিম্ন ভাড়া পরবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এদিনের খুব বেশি টিকিট অবিক্রীতও নেই।