উত্তপ্ত ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে ও গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
অনেকদিন ধরে চলা ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত সম্প্রতি অত্যন্ত সহিংস রুপ নিয়েছে। লেবাননের ভূখণ্ডে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৬০০ জন নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছে দেশটিতে। লেবাননও পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে। দুইপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পুরো মধ্যপ্রাচ্য।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতর আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমারা বলছে, এই সংঘাত অসহনীয় এবং এতে পুরো অঞ্চলে সংঘাত তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল বা লেবাননের সাধারণ জনগণ এমনটা চায় না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এবার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।