Skip to content

আমের খোসার নানা গুণ

    আমের খোসার নানা গুণ prothomasha.com

    গরমের সময় মার্কেটে বিভিন্ন রকমের ফল উঠলেও সবার আগে কিন্তু আমের দিকেই চোখ যায়। সব বয়সের মানুষেরই অত্যন্ত পছন্দের ফল আম। তবে আমের জনপ্রিয়তা কেবলমাত্র স্বাদের দিক থেকে নয়, রয়েছে এর প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতাও। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর আম। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এ ফল বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।

    তবে কেবল আমই নয়, আমের খোসাও কিন্তু স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর!আমের যেমন গুণ তেমনি আমের খোসারও বহু গুণ আছে। সাধারণত আমরা আম খেয়ে খোসা ফেলে দিই, কারণ আমের খোসাও যে কোনও উপকারে আসতে পারে তা আমাদের মাথায়ই আসে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক, আমের খোসা স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে –

    হার্ট ভাল রাখে: হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে আমের খোসা দারুণ কার্যকরী। গবেষণায় অনুযায়ী, আমের খোসা ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক্সের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, স্থূলতা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিসলিপিডেমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ সমস্যাগুলোই হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: আমের খোসা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি থেকেও বাঁচায়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ওজন কমায়: আমের খোসায় পাওয়া একটি অনন্য ফাইবার হল পেকটিন। এই পেকটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আমের খোসা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি কতটা কার্যকরী, তা আমরা সকলেই জানি।

    ত্বক ও চুলের জন্য ভাল: আমের খোসা, বিশেষ করে পাকা আম ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে এ ভিটামিন খুবই কার্যকর। এটা ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ এবং প্রদাহও দূর করে। এছাড়াও, আমের খোসা চুলের বৃদ্ধি এবং স্ক্যাল্প ভাল রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।

    অন্ত্র ভাল রাখে: আমের খোসা হেলদি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে অন্ত্র এবং পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। শুকনো আমের খোসায় প্রায় ৪০ শতাংশ ফাইবার থাকে, এটি ফ্রেশ আমের খোসার চেয়ে বেশি কার্যকরি।

    ক্ষত নিরাময় করে: ভিটামিন-ই ক্ষত নিরাময়ে দারুণ কাজ করে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং নতুন ত্বক উঠতে সহায়তা করে। আমের খোসা পোড়া ত্বক এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।