কলকাতার ধর্নামঞ্চে ভুল বক্তব্য রেখে ধিক্কারের শিকার হয়েছেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। অবশেষে অনুতপ্ত মনে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি ক্ষমাপ্রার্থী হন।গতকাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “গতকাল একটি ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।”
কাঞ্চন আরও জানান, তিনি কোনো সাফাই গাওয়ার জন্য এই ভিডিওটি করেননি। তিনি অন্তর থেকে অনুভব করতে পেরেছেন তার ত্রুটি। তার কথায়, “বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পরে। এ ছাড়া আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।”
তিনি তার ধৈর্যচ্যুতির কারণ উল্লেখ করতে জানান, তার ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায়। ওই ব্যক্তি সেদিনও পরিষেবার কারণে কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের ধর্মঘট থাকায় তাকে বাঁচানো যায়নি। সেদিনই ভেঙে পড়েন তিনি।এ অভিনেতা আরও বলেন, “তারপরেও আমি চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনো খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাইনি। পরিস্থিতির কারণে সকলে অশান্ত।”
তিনি জানান, তার ওপরেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব পড়েছে। তিনিও আন্তরিক ভাবে নির্যাতিতার ন্যায় চাইছেন। ভিডিও শেষে একজন সাধারণ মানুষের মতোই সকলের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।ধর্নামঞ্চ থেকে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের করা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে টালিউডের অন্যান্য বন্ধুরা তার সঙ্গ ত্যাগ করছেন। সে তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এদিকে নাট্য পরিচালক সুজননীল মুখোপাধ্যায় আগামী নাটক থেকে ইতোমধ্যেই কাঞ্চনকে বাদ দিয়েছেন। । বাকিরাও তার অজ্ঞানতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।কাঞ্চনের এক বক্তব্য থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
গত রবিবার কোন্নগরে এক প্রতিবাদ ধর্নামঞ্চ থেকে বিধায়ক বলেন, “কর্মবিরতি পালন করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে, ভাল। কিন্তু, তারা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো, না কি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?” এর পাশাপাশি কাঞ্চন বলেন, “আজ আন্দোলনের নামে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সবাই বলেন, চিকিৎসক মানে ভগবান। গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন শহরের হাসপাতালে, চিকিৎসার জন্য। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে রোগীরা কী অপরাধ করেছেন? এমন কোনো কাজ আপনাদের করা উচিত নয়, যাতে তারা ‘চিকিৎসকেরা ভগবান’ বলতে দ্বিধা করেন।”