গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর ড. ইউনূসের মামলা তড়িঘড়ি করে প্রত্যাহার কতটা আইনসঙ্গত ছিল- এ বিষয়ে বৃহত্তর শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।এর আগে গত ৩ অক্টোবর স্বপ্রণোদিত হয়ে ড. ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা ৬৬৬ কোটি টাকা দেওয়ার রায় প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওইদিন ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৬৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে’ এমন রায় পূর্ণাঙ্গভাবে লিখতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি। পরে ৪ আগস্ট দেওয়া রায় প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানো হয়।গত ৪ আগস্ট গ্রামীণ কল্যাণের এনবিআরের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ফলে ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করার বিধান ছিল।
এর আগে গত ১১ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।প্রসঙ্গত, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ দাবির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে গ্রামীণ কল্যাণ। পরে ৫ অর্থবছরের পাওনা হিসেবে গ্রামীণ কল্যাণকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।