Skip to content

আন্দোলনের মাঝেই সরিয়ে দেওয়া হলো তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রকে

    আন্দোলনের মাঝেই সরিয়ে দেওয়া হলো তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রকে prothomasa.com

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। সেখানকার সব সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। উত্তপ্ত অবস্থায় ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডা.‌ শান্তনু সেনকে।সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন শান্তনু। তিনি বলেছিলেন, এই হাসপাতালের পড়াশোনা রসাতলে গিয়েছে। সেই মন্তব্য করার জন্যই শান্তনুকে সরানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, দল মনে করেছে তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার দলের মুখপাত্র পদ থেকে শান্তনু সেনকে সরানোর খবর সামনে আসে। যা নিয়ে আলোচনা ঝড় উঠেছে। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা রয়েছে সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা কদিন আগেই হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে ঘটনা শুরুর পরপরই তাকে সরানো দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে মিডিয়ার সামনে উনি যে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন সেই বক্তব্য ওনার নিজের। দল সমর্থন করে না।’‌শান্তনু চৌধুরী বলেছিলেন, ‘‌আমি আরজি কর হাসপাতালের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমার মেয়ে সেখানে পড়ে। আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল এডুকেশন গত কয়েক বছরে রসাতলে গিয়েছে। কয়েকজনকে খুশি করতে পারলে প্রশ্ন জানা যায়। উত্তর হাতে নিয়ে হলে ঢোকা যায়, টোকাটুকি করা যায়।’‌

    তিনি আরও বলেন, ‘আরজি করে এর আগেও অনেকেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যত অভিযোগ উঠেছে, তা আর কাউকে নিয়ে ওঠেনি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, তবে সঠিক তথ্য তার কাছে দেওয়া হচ্ছে না। আমার নৈতিক দায়িত্ব সেই তথ্য তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া।’অন্যদিকে চলমান আন্দোলনের মাঝেই রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়েছে। চিকিৎসক থেকে পুলিশও মারধরের শিকার হন। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বললেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, হাসপাতালের যে সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আলামত নষ্ট করতেই এই তাণ্ডব। তবে কলকাতা পুলিশের দাবি, ওই সেমিনার রুম ‘সম্পূর্ণ অক্ষত’ আছে।