এপ্রিল থেকে চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলা তাপপ্রবাহ কমেছে। দেশজুড়ে চলা বৃষ্টিই তাপ প্রশমনের কারণ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি আজ আগের দিনের চেয়ে বরং বেশি হতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি আগামী অন্তত চার দিন চলতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। সে অনুযায়ী, আজ রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমে যেতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। সেই অনুযায়ী, গতকাল দেশের ৩১টি স্টেশনে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় ফেনীতে, ১৩০ মিলিমিটার। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১১৮, মাইজদীকোর্টে ৯০ ও চাঁদপুরে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গতকাল রাতে বলেন, আজ দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এর ফলে এখনো যে দু-তিনটি এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ আছে, তা কমে যেতে পারে।
এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এ অবস্থা গত ৭৬ বছরে হয়নি বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য। চলতি মাসের শুরুতেও তাপপ্রবাহ ছিল। তবে মাসের ২ তারিখে বৃষ্টি শুরু হলে তাপ কমতে থাকে। গত সোমবার দেশজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বৃষ্টির এই ধারা আগামী চার থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে। এ সময় তাপপ্রবাহেরও তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে মাসের শুরুতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এখনো তেমন কোনো ঝড় সৃষ্টি হয়নি বলেই জানান ওমর ফারুক।