কোনোকিছু আড়াল করতে প্রায়সময়ই মিথ্যা বলেন অনেকে। অথচ, মিথ্যা বলা মহাপাপ। এমনকি খোদ মহান আল্লাহ তায়ালা মিথ্যাবাদীকে পছন্দ করেন না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারী আর মিথ্যাবাদীকে আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না (সুরা মুমিন, আয়াত: ২৮)
তবে অবলীলায় অনেকে ছোটখাটো বিষয়েও মিথ্যা বলে থাকেন। অথচ, মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহু (সা.) বলেছেন, কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচাইতে বড় গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, প্রাণ সংহার (হত্যা) করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া আর মিথ্যা বলা, অথবা বলেছেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহিহ বুখারি, ৬৪০৫)
অপর হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, সত্য নেকীর দিকে পরিচালিত করে আর নেকী জান্নাতের দিকে পৌঁছায়। আর মানুষ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে অবশেষে সিদ্দীকের দরজা লাভ করে। আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। পাপ তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর কাছে মহামিথ্যাবাদী রূপে সাব্যস্ত হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৬৪)
এ ক্ষেত্রে মিথ্যার সর্বোচ্চ পর্যায় হলো কারও ওপর অপবাদ দেওয়া। যে অপরাধ বা দোষ কারও মধ্যে নেই, এমন অপরাধ বা দোষে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করাকেই অপবাদ দেওয়া বলা হয়। এ ক্ষেত্রেও কঠিন শাস্তি রয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সতী-সাধ্বী, সহজ-সরল ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত, আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। (সুরা নুর, আয়াত: ২৩)