প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে জোয়ার এসেছে, তাতে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে অ্যাপল। স্যামসাং ও গুগলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান তাদের যন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত করলেও অ্যাপল তেমনটি করেনি। এর আগে বেশ কয়েকবার নিজেদের যন্ত্রে এআই প্রযুক্তি সুবিধা যুক্তের ঘোষণা দিলেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এবার অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই অ্যাপল যন্ত্রে জেনারেটিভ এআই সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। এ জন্য কাজও শুরু করেছে অ্যাপল। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অ্যাপলের এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় টিম কুক বলেন, ‘যেসব প্রযুক্তি আমাদের আগামী নির্ধারণ করবে, সেসব প্রযুক্তি ও সুবিধাতে আমরা অব্যাহতভাবে বিনিয়োগ করছি। এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আমরা আমাদের শ্রম ও সময় ব্যয় করা অব্যাহত রেখেছি। আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে এআইয়ের জন্য আমাদের চলমান কাজগুলোর বিস্তারিত তথ্য এ বছরের শেষ ভাগে জানাতে পারব।’
সভায় অ্যাপল পণ্যে জেনারেটিভ এআই সুবিধা চালু করা হবে বলে জানালেও কোন মাসে চালু করা হতে পারে, তা জানাননি টিম কুক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলছি যে জেনারেটিভ এআই নিয়ে অ্যাপলের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’অ্যাপল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান জানিয়েছেন, আইওএসের পরবর্তী সংস্করণ ‘আইওএস ১৮’তে অ্যাপলের ইতিহাসে সব থেকে বড় হালনাগাদ আসতে পারে। ফলে গুরম্যানের অনুমান ও টিম কুকের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আইওএস ১৮ থেকেই ব্যবহারকারীরা আইফোন-আইপ্যাডসহ সব যন্ত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।