Skip to content

অ্যাটকিনসন নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

    অ্যাটকিনসন নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড prothomasha.com

    অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন গাস অ্যাটকিনসন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটেও নিজেকে মেলে ধরেছেন। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে মাত্র ৫টি টেস্ট খেলেই অনেক কীর্তি গড়েছেন। এমনকি লর্ডসে মাত্র দুই টেস্টেই মর্যাদাপূর্ণ অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন চারবার।গতকাল রবিবার ২৬ বছর বয়সী ইংলিশ পেসার চতুর্থ ও সর্বশেষ নাম লিখিয়েছেন লর্ডসে। শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টির চতুর্থ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট, তার দল ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছে ১৯০ রানের বড় ব্যবধানে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা।

    এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাটকিনসন জুলাইয়ে লর্ডসে অভিষেক টেস্টেই দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন মোট ১২ উইকেট (৭ ও ৫)। দুই ইনিংসেই ন্যূনতম পাঁচ উইকেট থাকায় অনার্স বোর্ডে নাম যুক্ত হয়েছিল দুবার। এবার লংকানদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে নাম লেখান সেঞ্চুরির মাধ্যমে। ব্যাট হাতে খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস।

    ইংল্যান্ড যে ম্যাচটা জিততে চলেছে, সেটি পরিষ্কার হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষেই। কেননা শ্রীলংকা চতুর্থ ইনিংসে ৪৮২ রান তাড়া করতে নেমে ওই দিনই ৫৩ রান তোলার পথে দুই উইকেট হারিয়ে বসে। আজ ম্যাচের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৮ উইকেট তুলে নেওয়া। অ্যাটকিনসনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড সেটিই সেরে নিয়েছে বিকেলের মধ্যে।

    দিনেশ চান্দিমাল (৫৮) লংকানদের হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া দিমুথ করুনারত্নে (৫৫), ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (৫০) ও মিলন রত্নায়েকেরাও (৪৩) ভালো ব্যাট করেন। এদের মধ্যে করুনারত্নে বাদে বাকি তিনজন এবং কামিন্ডু মেন্ডিসকে তুলে নিয়েছেন অ্যাটকিনসনই। আগের দিন নিশান মাদুশকার উইকেটও তুলে নেওয়ায় ইনিংসে অ্যাটকিনসনের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৬-৪-৬২-৫।

    ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে অ্যাটকিনসনের হাতে। ডানহাতি এ পেসার ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই একই টেস্টে ভালো করার অনুভূতি জানিয়েছেন।ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কাসিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর ওভালে।ইংল্যান্ড এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪২৭ রান করে। জবাবে শ্রীলংকা ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। ইংলিশরা এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ২৫১ রান করে। পরে শ্রীলংকা ২৯২ রানে অলআউট হয়। ইংলিশদের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা কীর্তি গড়েন জো রুট।