Skip to content

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি জয়ই হতে পারে নিগারদের প্রেরণা

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি জয়ই হতে পারে নিগারদের প্রেরণা prothomasha.com

    ব্যবধান আসলে অনেক। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা ওয়ানডে ক্রিকেটে সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, টি-টোয়েন্টিতে ছয়বার। দুই সংস্করণেই র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল।

    বাংলাদেশের মেয়েদের বড় অর্জন বলতে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জয়। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ৭ নম্বরে, টি-টোয়েন্টিতে ৯ নম্বরে। শক্তি-সামর্থ্যে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা সেই অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে এখন ঢাকায়। আগের দুই দিনে দুই দফায় ১০ জন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ঢাকায় এসেছেন। গতকাল দুপুরে তাঁরা মিরপুরে এসেছেন, ফুটবল খেলে গা গরম করেছেন। ভারতে মেয়েদের আইপিএল ফাইনাল খেলা বাকিরা এসেছেন গতকাল সন্ধ্যায়। আজ অ্যালিসা হিলিদের পুরোদমে অনুশীলন করার কথা।

    এই সিরিজ থেকে প্রথমবারের মতো ‘কোকাকোলা’ আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ নারী দলের অফিশিয়াল কিট স্পনসর হলো। এ ছাড়া আগামী দুই বছরের জন্য বিসিবির অফিশিয়াল বেভারেজ পার্টনারও কোকাকোলা। কাল মিরপুর স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাজনা শুরু হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার।

    নারী ক্রিকেটের জন্য সিরিজটা কতটা গুরুত্ববহ, তা হাবিবুলের কথাতেই স্পষ্ট, ‘এটা একটা বড় সিরিজ।’ পরে বিস্তারিত বলতে
    গিয়ে অস্ট্রেলিয়া নারী দলটাকে ওয়াহ-পন্টিংদের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা করলেন, ‘২০০৫–এর দিকে ছেলেদের অস্ট্রেলিয়া যেমন ছিল, মেয়েদের এই অস্ট্রেলিয়াও তেমনই। ওয়াহ-পন্টিংদের দলটার মতোই। আমাদের জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদি ভালো করতে পারি…সামনে বিশ্বকাপ আছে, সেখানে বড় অনুপ্রেরণা হবে।’
    এ বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশেই হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া তাই পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। তাদের জন্য এই সিরিজটা বাংলাদেশের জল–হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ। বাংলাদেশ অবশ্য সেভাবে দেখছে না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই সিলেটে ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজই হবে নিগারদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। উইকেটও হবে ব্যাটিং–সহায়ক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের চাই অন্তত একটি জয়। তাই মিরপুরে মেয়েদের সর্বশেষ দুই সিরিজের মতো এবারও উইকেট হবে স্পিন–সহায়ক। হাবিবুলও সে আভাস দিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটা ম্যাচ জেতা হবে অনেক বড় অর্জন।’
    আরও একটা কারণে সিরিজটি স্মরণীয় হতে যাচ্ছে। বিসিবির দুই নারী আম্পায়ার সাথিরা জেসি ও মিশু চৌধুরী অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজে ম্যাচ পরিচালনা করবেন। দুজনের মধ্যে সাথিরা টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবেন। এখন পর্যন্ত ছয়টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ পরিচালনা করা সাথিরা এবারই প্রথম ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ম্যাচ পরিচালনা করবেন। অক্টোবরে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের নারী আম্পায়ারদের প্রতিনিধিত্ব দেখতে চায় বিসিবি। সে জন্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই দুই নারী আম্পায়ারকে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া। সর্বশেষ বোর্ড সভায় এই দুই আম্পায়ারকে বেতনভুক্তও করা হয়েছে। এবারই প্রথম দুজন নারী আম্পায়ারকে বেতনের আওতায় আনল ক্রিকেট বোর্ড।