গত কয়েক বছরে জীবনে একের পর এক ঝড় সামলাতে হচ্ছে সামান্থাকে। মায়োসাইটিস নামে এক বিরল অটো ইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে বিরতি নিতে হয়েছে তাকে। এই রোগের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সরাসরি আক্রমণ করে শরীরের পেশিকে। পেশিতে অনেক সময় তীব্র যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। এর প্রধান উপসর্গ যন্ত্রণা ও দুর্বলতা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অসুস্থতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। জানান স্বেচ্ছায় নয়, চাপে পড়ে নিজের অসুখের বিষয়টি জনসম্মুখে আনতে হয়েছে তাকে।অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই সময়ে আমার নারীকেন্দ্রিক একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। খুবই অসুস্থ ছিলাম তখন। কঠিন ছিল বিষয়টি, আমি প্রস্তুত ছিলাম না। অনেক রকম গুঞ্জন রটছিল, ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। ছবির প্রচারের জন্য প্রযোজকদের আমাকে দরকার ছিল, না হলে সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই আমি একটি সাক্ষাৎকার দিই। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আমাকে আগের মতো সুস্থ দেখাচ্ছিল না। উচ্চ মাত্রার ওষুধ সেবন করে নিজেকে ঠিক রাখতে হয়েছে। সে সময় আমাকে চাপ দেওয়া হয় বিষয়টি জানানোর জন্য।’
এরপর অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে তখন মানুষ সিমপ্যাথি কুইন ডাকা শুরু করে। অভিনেত্রী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে অনেক ভুগতে হয়েছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমাকে নিয়ে লেখা কুরুচিপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো দেখার আগে উদ্বেগ হতো। তারা আমাকে যতবার অভিযুক্ত করত, আমি ততবার নিজেকে প্রশ্ন করতাম, চিন্তা করতাম বিষয়টি নিয়ে। তারাই আমাকে আজকের এই মানুষটি বানিয়েছে, যাকে নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি। মানুষ অনেক অনেক কষ্টের মাঝ দিয়ে যায়, তাদের সেই কষ্ট প্রকাশ করার একটি মাধ্যম লাগে। আমার মনে হয় সামাজিকমাধ্যম সেটি। আমার তাই মনে হয়।’সামান্থা জানান, তার ‘ইমপোস্টর সিনড্রম’ আছে। সাফল্যের চূড়ায় গিয়েও সময়টাকে উপভোগ করতে পারেননি তিনি। সামান্থাকে সর্বশেষ দেখা গেছে শিবা নির্ভানা পরিচালিত বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘খুশি’ ছবিতে। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘সিটাডেল’ অবলম্বনে তৈরি ভারতীয় অ্যাকশন সিরিজে। তার বিপরীতে রয়েছেন বরুণ ধাওয়ান।