Skip to content

অবশেষে বিসিএস ও মায়ের বিষয়ে মুখ খুললেন তাহসান

    অবশেষে বিসিএস ও মায়ের বিষয়ে মুখ খুললেন তাহসান prothomasha.com

    অবশেষে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিসিএসে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন সংগীত ও অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান।প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে হঠাৎ করে আলোচনা আসে সংগীত-অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান ও তার মায়ের নাম। ঘটনাটি নিয়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় চলে আলোচনা।গুঞ্জন রটে, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত সৈয়দ আবেদ আলী ছিলেন সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসার গাড়ি চালক। তিনি (জিনাতুন নেসা) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছেলে তাহসানকে বিসিএসে অংশ নিতে সহায়তা করেন।

    সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে― তাহসানের মায়ের মেয়াদেও প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। আর মা চেয়ারম্যানের পদে থাকাকালীন ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। কিন্তু সেই পরীক্ষা পরে বাতিল হয়। পরবর্তীতে ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে তাতে বাদ পড়েন সঙ্গীত শিল্পী।বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমকে তাহসান জানান, তিনি কোনো দিন বিসিএস পরীক্ষাই দেননি।

    এই সংগীত শিল্পী বর্তমানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘মানুষ বুঝে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে মানুষজন এর প্রতিবাদও করছে। নানানজন নানানভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু কোনো দিন বিসিএস দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (সৈয়দ আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনো দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।’

    এদিকে, তাহসান খানকে নিয়ে এই ইস্যুতে কথা বলেছেন দেশের নন্দিত গীতিকার এবং সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে প্রিন্স মাহমুদ লেখেন, ‘তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ন মিথ্যা। এসব খবর নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। তাহসানের বাবা-মা দু’জনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনোরকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন সমস্তটা গানের জন্যই। বাই দ্য ওয়ে, প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

    এছাড়া প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘তাহসানের আম্মা জিনাতুন নেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকার সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কিনা বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কিনা বা জড়িত ছিলেন কিনা, সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করব। যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোনো দায় থাকে।’

    এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য যাচাই-বাছাই সংস্থার গ্রুপে জানানো হয়েছে, ২৪তম বিসিএসের ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়।সেখানে বলা হয়েছে, ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠায় ৩ মার্চ তা বাতিল করে পিএসসি। পরবর্তীতে ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় এবং নিয়ম অনুযায়ী লিখিত ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।